আজ একবিংশ শতাব্দী তে দাঁড়িয়ে সেই ধুলোই আজ পায়ের নয় প্রানের বিপদ হয়ে দেখা দিয়েছে। এই দূষণের মাত্রা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে তা সমাধানের চেষ্টায় যেমন বিজ্ঞানীকুল ব্যস্ত আবার এটাই বর্তমান রাজা,মন্ত্রীদের রাজনৈতিক ইস্যুও।
কখনও সরকারি উদ্যোগে জল ছিটানো হচ্ছে কোথাও আবার কৃত্তিম মেঘ সৃষ্টি করে বৃষ্টি নামানো হচ্ছে। অবশেষে সেই চামার ব্যাটার মত ঈষৎ হাসি দেখা গেল খড়গপুর আই আই টির প্রাক্তনী তরুণ ইঞ্জিনিয়ার দেবাঞ্জন সাহার মুখে।
ভাগ্যিস মন্ত্রীর মুখে শোনা যায়নি 'আমারো ছিল মনে/কেমনে বেটা পেরেছে সেটা জানতে।'
দিল্লী সরকার দেবাঞ্জনের প্রযুক্তি সরকারি ভাবে কাজে লাগিয়ে দূষণ রোধের চেষ্টা করছে।সেখানকার সরকারি পরিবহন সংস্থার বাস গুলোতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
কিন্তু কি সেই প্রযুক্তি যা কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলবে? যতদূর জানা গেছে বাতাসে ভাসমান 2.5 পি এম ,যেটা কীনা বায়ু দূষণের সবচেয়ে বড় কারণ।যা আমাদের শরীরে শ্বাসপ্রশ্বাস এর সময় প্রবেশ করে শ্বাস যন্ত্রের নানা সমস্যা, সিওপিডি থেকে ক্যান্সার-অনেক মারণ রোগের কারণ হয়। দেবায়নের 'মাইনাস ২.৫' প্রযুক্তিতে বিদ্যুৎ শক্তি ও তরঙ্গ শক্তির যৌথ প্রয়োগে যন্ত্রটি থেকে পি এম ২.৫ বের হবে ।বের হওয়ার সময় এই ধূলিকণা গুলির মধ্যে এক ধরনের চৌম্বকত্ব তৈরি হবে। এই কনা গুলি তখন বাতাসে ভাসমান ২.৫ কনা গুলিকে আকর্ষণ করবে।এবং বহু কণা মিলে আয়তন অনেক বেড়ে যাবে।অর্থাৎ পি এম২.৫ কণা গুলি বেড়ে পি এম ১০০ বা পি এম ২০০তে রূপান্তরিত হবে। আয়তন এত বড় হওয়ায় সেগুলি আর বাতাসে ভেসে থাকতে পারবে না। আবার শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমেও শরীরে ঢুকতে পারবে না।
এটি আপাতত গাড়িতে এটি লাগানো যাবে। গাড়ির সাইলেনসার অর্থাৎ যেখান দিয়ে ধোঁয়া বেরোয় সেখান থেকেই এই চৌম্বকত্ব প্রাপ্ত কণা গুলি বের হবে এবং তার কাছাকাছি থাকা কণা গুলিকে আকর্ষণ করে বধ করবে। আপনার গাড়িতে যদি এটি লাগানো থাকে তাহলে ওই রাস্তায় চলা গাড়ি গুলো থেকে বেরোনো পি এম ২.৫ কণা গুলিও ধরা পড়বে। তাই রাস্তায় চলা গাড়িগুলির যদি 10 শতাংশ ও এটা ব্যবহার করে তাহলেও অনেকটাই দূষণ রোধ করা সম্ভব হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
এই যন্ত্রটি আপনি বিনামূল্যে পেতে পারেন । যদি আপনি ব্যক্তিগত ভাবে অথবা সংগঠিত ভাবে পরিবেশে জন্য কিছু করে থাকেন তাহলে তার ছবি বা তথ্য পাঠাতে হবে।
0 Comments