Model Activity Task-4 Questions and Answer

বাংলার শিক্ষা ওয়েবসাইটে এপর্যন্ত তিনটি  মডেল এক্টিভিটি টাস্ক দেওয়া হয়েছে। এখন আগস্ট মাস থেকে সমস্ত স্কুল গুলি থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষক দের তৈরি মডেল টাস্ক দেওয়া হচ্ছে। আমরা আলোচনার সুবিধার্থে স্কুল থেকে প্রথম যে  এক্টিভিটি টাস্ক দেওয়া হয়েছে সেটাকে Model Activity Task-4 বলে ধরে নিচ্ছি। 

এখন প্রত্যেক স্কুলের এক্টিভিটি টাস্ক আলাদা আলাদা। আমরা যেহেতু ইতিহাস বিষয়ে এক্টিভিটি টাস্ক গুলো কীভাবে সমাধান করতে হবে সে সম্পর্কে বিভিন্ন ভিডিওর মাধ্যমে আলোচনা করছিলাম তাই এখন ভিডিওর পরিবর্তে এখানে উত্তর গুলো লিখে দেওয়া হবে। তোমারা মেসেজ করে প্রশ্ন গুলি পাঠালে তার উত্তর আমরা এখানে আপলোড করে দেব। 

Model Activity Task 2021  এর উত্তরপত্র 👇

Model Activity Task Class 6 HISTORY👈Click Here For Ans

Model Activity Task Class 7 HISTORY👈Click Here For Ans

Model Activity Task Class 8 HISTORY👈Click Here For Ans

Model Activity Task Class 9 HISTORY👈Click Here For Ans

Model Activity Task Class 10 HISTORY 👈Click Here For Ans

For Educational News Click Here👈

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------- 

যে প্রশ্নগুলো এখনও পর্যন্ত পাওয়া গেছে সেগুলি সমাধান করে দেওয়া হল- 

School- Bratachari Bidyasram (South 24 Pargana) 

Class- 7  Subject- History 

প্রশ্ন- ১।মহম্মদ ঘুরি কত সালে মারা যান?

উত্তর- মহম্মদ ঘুরি মারা যান ১২০৬ সালের ১৫ মার্চ। 

 প্রশ্ন ২।মালিক কাফুর আলাউদ্দিন খলজির রাজ সভায় কী পদে ছিলেন?

উত্তর- মালিক কাফুর আলাউদ্দিন খলজির রাজ সভায় সেনাপতি পদে ছিলেন

 প্রশ্ন ৩। খলজি বংশ, দাস বংশ, তুঘলক বংশ, সৈয়দ বংশ, ও লোদি বংশের প্রতিটির রাজত্বকাল, ও প্রথম শাসকের নাম লেখ। 

উত্তর- দাস বংশ- ১২০৬-১২৯০ প্রথম শাসক - কুতুবুদ্দিন আইবক

        খলজি বংশ- ১২৯০- ১৩২০ প্রথম শাসক- জালাল উদ্দিন ফিরোজ খলজি 

        তুঘলক বংশ- ১৩২০- ১৪১৪ প্রথম শাসক- গিয়াস উদ্দিন তুঘলক 

        সৈয়দ বংশ- ১৪১৪- ১৪৫১ প্রথম শাসক- খিজির খান 

        লোদি বংশ- ১৪৫১- ১৫২৬  প্রথম শাসক- বহ্লুল লোদি 

প্রশ্ন-৪। সুলতান ইলতুত্মিসের প্রধান সমস্যা গুলি কী কী ছিল?

উত্তর- সিংহাসনে আরোহণের পর সুলতান ইলতুতমিস কয়েকটি সমস্যার সম্মুখীন হন সেগুলি হল- 

        ক। নাসিরুদ্দিন কুবাচা সিন্ধু দেশে তাঁর স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং পাঞ্জাবে আধিপত্য স্থাপনের চেস্টা করে।

        খ। তাজউদ্দীন ভারতে তুর্কি অধিকৃত অঞ্চল এর অধিকার ছাড়তে রাজি ছিলেন না। 

        গ। আলি মরদান খলজি বাংলাদেশে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

        ঘ। দিল্লির কয়েকজন সেনানায়ক বিদ্রোহ ঘোষণা করে। 

প্রশ্ন-৫। বিজয় নগর রাজ্যে কয়টি রাজবংশ রাজত্ব করেছিল ও এই রাজবংশগুলির প্রতিষ্ঠাতা কারা?

উত্তর- বিজয় নগরে তিনটি রাজবংশ রাজত্ব করে- সঙ্গম, শালুভ, তুলুভ। 

সঙ্গম বংশের প্রতিষ্ঠাতা- হরিহর

শালুভ বংশের প্রতিষ্ঠাতা- নরসিংহ শালুভ

তুলুভ বংশের প্রতিষ্ঠাতা- বীর নরসিংহ। 

প্রশ্ন-৬। বিজয় নগর রাজ্যে আগত কয়েকজন বিদেশী পর্যটকের নাম লেখ। 

উত্তর- বিজয় নগর রাজ্যে আগত কয়েকজন বিদেশী পর্যটকের নাম- ইতালির নিকলো কণ্টী, পারস্যের আব্দুর রজ্জাক, পর্তুগালের পায়েজ, নুনিজ। 

--------------------------------------------------------------------------------------- 

Class-7   * Subject- History 

প্রশ্ন- পাট্টা ও কবুলিয়ত কী?

উত্তর- পাট্টা অ কবুলিয়ত হল রাজস্ব বিষয়ক দু ধরনের দলিল। কত রাজস্ব দিতে হবে তা উল্লেখ করে সরকার প্রজাকে যে জমির স্বত্ব প্রদান করত তা পাট্টা। এবং প্রজারা রাজস্ব প্রদানের শর্ত স্বীকার করে সরকারকে যে দলিল দিত তা কবুলিয়ত নামে পরিচিত। 

প্রশ্ন- দাগ ও হুলিয়া কী?

উত্তর- সেনা বাহিনীতে দুর্নীতি দূর করার জন্য সম্রাট আলাউদ্দিন খলজি দাগ অ হুলিয়া নামে দু ধরনের প্রথা চালু করেন। দাগ হল অশ্ব চিহ্নিত করন এর প্রক্রিয়া এবং হুলিয়া হল প্রত্যেক সৈন্যের দৈহিক বিবরণ লিপিবদ্ধ করন পদ্ধতি। 

প্রশ্ন- আবুল ফজল কে ছিলেন? 

উত্তর- আবুল ফজল ছিলেন একজন বিখ্যাত পণ্ডিত, ঐতিহাসিক, লেখক, এবং মুঘল বাদশাহ আকবরের পরামর্শদাতা। 

------------------------------------------------------------------------------------ 

School- Memari V.M.Institution, Unit-1 (Purba Bardhaman)

Class- VII  *  Subject- History

প্রশ্ন- গৌড়রাজ শশাঙ্ক ও হর্ষবর্ধনের সংঘাতের কারণ কী ছিল? 

উত্তর- সংঘাতের কারণ-

        ক) শশাঙ্ক কনৌজ দখল করে গ্রহবর্মাকে হত্যা করেন। গ্রহবর্মা ছিলেন থানেশ্বরের রাজকন্যা হর্ষবর্ধনের ভগিনী রাজ্যশ্রীর স্বামী।

        খ) শশাঙ্ক কনৌজ উদ্ধারে আগত হর্ষবর্ধনের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা রাজ্যবর্ধনকে হত্যা করেন। 

প্রশ্ন- পাল যুগের ভাস্কর্য শিল্পের কী পরিচয় পাওয়া যায়?

উত্তর- পাল আমলে ভাস্কর্য শিল্পের প্রভূত উন্নতি হয়েছিল। উৎকৃষ্টতম নিদর্শন হল পাহাড়পুরের প্রত্ন ক্ষেত্র। এখানে মুল মন্দিরের গায়ে পাথরের ফলক রয়েছে যার মধ্যে স্থানীয় রীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। ফলক গুলিতে বিভিন্ন দেব দেবীর মূর্তি রয়েছে। এগুলির মধ্যে ব্রাহ্মন্য প্রভাব অনেক বেশি। পাল রাজারা নিজেরা বৌদ্ধ হলেও বৌদ্ধ এবং ব্রাহ্মন্য উভয়ের পৃষ্ঠপোষনা করতেন। ভাস্কর্যের মধ্যে পোড়া মাটির শিল্প সামগ্রি ও ছিল। এগুলিতে সাধারন মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সুখ- দুঃখ, সমাজ জীবন, ধর্ম বিশ্বাস ইত্যাদি ফুটে উঠেছে।  

প্রশ্ন- দিল্লির সুলতানদের সঙ্গে উলেমাদের সম্পর্ক কেমন ছিল?

উত্তর-ইসলাম শাস্ত্রে পণ্ডিত দের বলা হয় উলেমা। তারা সুলতানদের শাসন কার্জ পরিচালনায় সুলতানকে পরামর্শ দিতেন। কিন্তু ভারতে হিন্দু- মুসলমান সব জনগণ ছিল সুলতানের প্রজা। তাই বাস্তব প্রয়োজনে সুলতানরা সব সময় উলেমাদের পরামর্শ মানতেন না। এর ফলে তাদের সম্পর্কে অবনতি হয়। আবার অনেক সময় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য , মুসলমান প্রজাদের নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য এবং নিজের ক্ষমতা অটুট রাখার জন্য সুলতানরা উলেমাদের সঙ্গে সু সম্পর্ক বজায় রাখতেন। 

প্রশ্ন- খলজি বিপ্লব বলতে কী বোঝায়?

উত্তর- ১২৯০ খ্রিস্টাব্দে জালাল উদ্দিন ফিরোজ খলজি দাস বংশের শেষ সুলতান কায়কোবাদ ও তার শিশু পুত্রকে হত্যা করে দিল্লির সুলতান হন। এই ঘটনা খলজি বিপ্লব নামে পরিচিত। এই ঘটনার মাধ্যমে ইলবারি তুর্কি দের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করে খলজি তুর্কি বা হিন্দুস্তানি মুসলমানরা। 

প্রশ্ন- সুলতান মামুদের ভারত আক্রমণের উদ্দেশ্য কী ছিল?

উত্তর- উদ্দেশ্য ছিল- ক) ভারতের ধন সম্পদ লুঠ করা।

                                    খ) ধর্মীয় কারণে পৌত্তলিকতা ধ্বংস করা। 

                                    গ) সম্মান অর্জন করা। 

প্রশ্ন-মাৎস্যন্যায় কী?

উত্তর- শশাঙ্কের মৃত্যুর (৬৩৭ খ্রিস্টাব্দ) পর প্রায় একশ বছর ধরে বাংলায় ঘোর অরাজক অবস্থার সৃষ্টি হয়। পুকুরের বড় মাছ যেমন ছোট মাছেদের গিলে খায়, বাংলার জনজীবনে ঠিক এরকম ভাবেই ক্ষমতা বান রা দুর্বলদের উপর অচ্যাচার করত। এই সময় কালের বাংলার এই অবস্থা কে মাৎস্যন্যায় বলা হয়। 

প্রশ্ন- পাল ও সেন যুগে বাঙ্গালির খাওয়া দাওয়া কীরকম ছিল?

উত্তর- পাল যুগে বাঙ্গালির প্রধান খাদ্য ছিল ভাত।নানা রকমের মাছ এর বিবরণ পাওয়া যায়।  প্রাচীন কব্যে থেকে জানা যায় গরম ভাতে গাওয়া ঘি, তার সঙ্গে মৌরলা মাছ, নালতে শাক, সর পড়া দুধ আর পাকা কলা ইত্যাদি ছিল খাদ্য তালিকায়। গরীব লোকের খাদ্য তালিকায় থাকত নানা রকমের সব্জি। সবাই না খেলেও সেই সময় বাঙ্গালির খাদ্য তালিকায় ছিল হরিণ, ছাগল, নানা রকমের পাখি অ কচ্ছপের মাংস, কাঁকড়া, শামুক,শুকনো মাছ ইত্যাদি। 

প্রশ্ন- পানিপতের প্রথম যুদ্ধে বাবরের জয়লাভের কারণ কী ছিল?

 উত্তর-ক) বাবর নিজে ছিলেন শ্রেষ্ঠ যুদ্ধ বীর, সেনাপতি।

        খ) যুদ্ধে বন্দুক ও কামানের ব্যবহার।

        গ) সু শৃঙ্খল সেনাবাহিনী ও উন্নত যুদ্ধ কৌশল। 

        ঘ) বাবরের ছিল দ্রুত গতি সম্পন্ন অশ্বারোহী বাহিনী।  

প্রশ্ন- আকবরের রাজপুত নীতি সম্পর্কে লেখো।

উত্তর- ভারতে রাজপুতদের উপর প্রাধান্য স্থাপনের জন্য সম্রাট আকবর তিনটি নীতি গ্রহণ করেন- 

ক) বৈবাহিক সম্পর্ক নীতি ঃ 

খ) উচ্চ রাজপদে নিয়োগ নীতিঃ 

গ) যুদ্ধ নীতি ঃ 

প্রশ্ন- আবুল ফজল বিখ্যাত কেন?

উত্তর- আবুল ফজল ছিলেন একজন বিখ্যাত পণ্ডিত, ঐতিহাসিক, লেখক, এবং মুঘল বাদশাহ আকবরের পরামর্শদাতা।তার রচিত দুটি বিখ্যাত গ্রন্থ হল- আইন-ই-আকবরি, এবং আকবর নামা।  

প্রশ্ন- আকবরের ভুমিরাজস্ব ব্যবস্থার পরিচয় দাও।

উত্তর- আকবর ভুমি রাজস্ব ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এবিষয়ে তাকে পরামর্শ দান করেন তাঁর রাজস্ব মন্ত্রী তোডরমল। 

        ক) জমি জরিপের মাধ্যমে রাজস্ব নির্ধারণ করেন। 

        খ) উৎপন্ন ফসলের  ১/৩ অংশ রাজস্ব হিসেবে নেওয়া হত। 

        গ) রাজস্ব নগদ অর্থে বা শস্যের মাধ্যমে দেওয়া যেত। 

        ঘ) প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে রাজস্ব মুকুব করা হত এবং সরকার কৃষকদের ঋণ দিত।  

প্রশ্ন- সুলহ- ই-কুল কী?

উত্তর- সুলহ-ই-কুল এর অর্থ হল সকলের প্রতি সহনশীলতা ও সকলের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহবস্থান। এই আদর্শের ভিত্তিতে  আকবর একটি ধর্মমত গড়ে তোলেন- যা দীন- ই-ইলাহি নামে পরিচিত। আকবরের সুলহ-ই-কুল এর আদর্শ ছিল- ক) বাদশাহ ঈশ্বরের ইচ্ছায় দেশ শাসন করবেন। 

                                                খ) প্রজাদের সঙ্গে পিতৃ সুলভ  আচরণ করবেন।

                                                গ) তিনি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রতি পক্ষপাত করবেন না।  

--------------------------------------------------------------------------------------------- 

Class-7  *  Subject- History ( একক- দিল্লি সুলতানি ) 

প্রশ্ন- মামেলুক সুলতান কাদের বলা হয়? 

উত্তর- দাস বংশের সুলতানদের মামেলুক সুলতান বলা হয়। 

প্রশ্ন- লাখবক্স নামে কে পরিচিত?

উত্তর- কুতুবুদ্দিন আইবক।

প্রশ্ন- সুলতান ই আজম উপাধি কে গ্রহন করেন?

উত্তর- ইলতুতমিস 

প্রশ্ন- ভারতের প্রথম মহিলা সুলতান কে ছিলেন?

উত্তর- সুলতান রাজিয়া 

প্রশ্ন- মোঙ্গল কারা?

উত্তর- মধ্য এশিয়ার হূনদের মত যুদ্ধবাজ যাযাবর জাতি। মোঙ্গলিয়ায় বাস করত বলে মোঙ্গল নাম হয়েছে। একজন উল্লেখযোগ্য মোঙ্গল নেতার নাম চেঙ্গিস খাঁ। 

প্রশ্ন- কায়কোবাদ কে ছিলেন?

উত্তর- দাস বংশের(ইলবারী)  শেষ সুলতান। 

প্রশ্ন- হিন্দুস্থানের তোতা পাখি কাকে বলা হয়? 

উত্তর- আমির খসরু কে।

প্রশ্ন- পাইবস ও সিজদা কী? 

উত্তর- পাইবস কথার অর্থ সম্রাটের পদ যুগল চুম্বন করা এবং সিজদা কথার অর্থ সিংহাসনের সামনে নতজানু হওয়া। এই দুটি পারসিক প্রথা চালু করেছিলেন বলবন। 

প্রশ্ন- মেওয়াটি কারা? 

উত্তর- রাজপুত দস্যুদল। এরা দিল্লির উপকণ্ঠে বনাঞ্চলে আত্মগোপন করে থাকত এবং সন্নিহিত অঞ্চলে লুঠতরাজ চালাত। 

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক-2

ইতিহাস সপ্তম শ্রেণি

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো:

১. শশাঙ্ক বৌদ্ধবিদ্বেষী ছিলেনএই উক্তিটা ঠিক না ভুল? তোমার উত্তরের সপক্ষে দুটি অথবা তিনটি বাক্য লেখো।

উত্তর ধর্মীয় দিক থেকে শশাঙ্ক শিবের উপাসক বা শৈব ছিলেন। বৌদ্ধদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কেমন ছিল তা নিয়ে | আমরা দু-ধরনের মতের সন্ধান পাই। যেমন

বৌদ্ধবিদ্বেষী : বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ ‘আর্যমঞ্জুশ্রীমূলকল্প, বাণভট্টের ‘হর্ষচরিত এবং হিউয়েন সাঙের বিবরণীতে শশাঙ্ককে বৌদ্ধবিদ্বেষী বলা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে বৌদ্ধ ভিক্ষুকদের হত্যা এবং বৌদ্ধ স্মারক ধ্বংস করার অভিযোগও ওঠে।

বৌদ্ধসহিষ্ণু : শশাঙ্ককে বৌদ্ধবিদ্বেষী না বলার ক্ষেত্রে। যুক্তিগুলি হল

(i) হিউয়েন সাঙ কর্ণসুবর্ণ নগরে লো-টো-মো-চিহ রক্তমৃত্তিকা নামক বৌদ্ধ বিহারের সমৃদ্ধি লক্ষ করেছিলেন। শশাঙ্ক বৌদ্ধবিদ্বেষী হলে এই সমৃদ্ধি ঘটত না।

 (ii) ইৎ সিং শশাঙ্কের মৃত্যুর মাত্র পাশ বছর পর বাংলায় বৌদ্ধধর্মের উন্নতি লক্ষ করেছিলেন। শশাঙ্ক বৌদ্ধবিদ্বেষী হলে এই উন্নতি সম্ভব হত না।।

ওপরের আলােচনা থেকে বােঝা যাচ্ছে যে, শশাঙ্কের সঙ্গে বৌদ্ধদের সুসম্পর্ক না থাকলেও শত্রুতার সম্পর্ক ছিল না। 

২. সুলতান মামুদের ১৭ বার ভারত আক্রমণের পিছনে প্রকৃত কারণ কী ছিল বলে তোমার মনে হয়? (৭০/৮০টি শব্দে লেখ)।

উত্তর- আনুমানিক ১০০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১০২৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সুলতান মামুদ ১৭ বার ভারত আক্রমন করেন এই আক্রমণের কারণ ছিল তাঁর নিজের রাজ্যকে সুন্দর ও সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলা। যদিও সুলতান মাহমুদ ভারতের ইতিহাসে একজন আক্রমণকারী হিসাবে চিহ্নিত হয়ে আছেন। কিন্তু তিনি শুধুই একজন যোদ্ধা ছিলেন না। ভারত থেকে তিনি যেমন প্রচুর সম্পদ লুঠ করেছেন, তেমনি নিজের রাজ্যে ভালো কাজে তা ব্যয় করেছেন। তাঁর আমলে রাজধানী গজনি এবং অন্যান্য শহরকে সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল। মাহমুদ সেখানে প্রাসাদ, মসজিদ,গ্রন্থাগার, বাগিচা, জলাধার, খাল এবং আমু দরিয়ার (নদী) উপর বাঁধ নির্মাণ করেন। | তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেন যেখানে শিক্ষকদের বেতন ও ছাত্রদের বৃত্তি দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল।

৩. নীচের শব্দগুলির জন্য দুটি করে বাক্য লেখো

ক) মাৎস্যন্যায় :

উত্তর- মাৎস্যন্যায় : 637 খ্রিস্টাব্দে শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলায় শক্তিশালী রাজশক্তির অভাবে একশো বছর ধরে যে অরাজকতা চলেছিল তাকে মাৎস্যন্যায় বলে।।

 এইরূপ নামকরণের কারণ : জলাশয়ে বড়ো মাছেরা যেমন ছোটো মাছদের খেয়ে বেঁচে থাকে, ঠিক একই রকমভাবে এই সময় বাংলায় শক্তিশালী ব্যক্তিরা দুর্বলের প্রতি অত্যাচার চালায়। মাছেদের আচরণের সঙ্গে এই ঘটনার মিল থাকায় একে মাৎস্যন্যায় বলা হয়েছে।

অবসান : 750 খ্রিস্টাব্দে গােপাল বাংলার রাজা নির্বাচিত হওয়ার সময় থেকে মাৎস্যন্যায়ের অবসান ঘটেছিল।

 খ) ব্ৰত্মদেয় :

উত্তর দক্ষিণ ভারতের রাজাদের অনেকে স্থানীয় সামন্ত ও ব্রাত্মণদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগ করে নিতেন। অনেক সময় রাজা ব্রাত্মণদের জমি দান করতেন। ব্রাত্মণরা অনাবাদী জমি ও জঙ্গল পরিষ্কার করে নতুন জনবসতি তৈরি করতেন। রাজা ব্রাত্মণদের যে জমি দিতেন তার জন্য ব্রাত্মণদের কর দিতে হত না। রাজার জমিদানের এই ব্যবস্থাকে ব্ৰত্মদেয় ব্যবস্থা বলা হয়।

 গ) খিলাফত :

উত্তর খলিফা: হজরত মহম্মদের মৃত্যুর পর তার প্রধান চার সঙ্গী একে একে মুসলমানদের নেতা নির্বাচিত হন। এঁদের বলা হয় খলিফা।। আরবি ভাষায় ‘খলিফা শব্দের অর্থ প্রতিনিধি বা উত্তরাধিকারী।

 খিলাফৎ :ইসলাম ধর্মের ক্ষমতা যেসব অঞলে ছড়িয়ে পড়ে  তাকে বলে দার-উল ইসলাম। খলিফা হলেন দার-উল ইসলামের প্রধান নেতা। খলিফার এই অধিকারের এলাকাকে বলা হয় খিলাফৎ

 

 

-------------------------------------------------------------------------------------------------------------    

অষ্টম শ্রেনি। ইতিহাস। 

প্রশ্ন- ব্রিটিশ প্রেসিডেন্সি ব্যবস্থা বলতে কী বোঝ?

উত্তর-ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তাদের বানিজ্যিক স্বার্থে ভারতীয় উপমহাদেশে কতগুলি ঘাঁটি তৈরি করেছিল। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বোম্বাই, মাদ্রাজ ও কলকাতা। এই ঘাঁটি গুলির পরিচয় হয়ে উঠেছিল প্রেসিডেন্সি । এই প্রেসিডেন্সি থেকে কোম্পানির কার্যকলাপ পরিচালিত হত বলে এই ব্যবস্থা প্রেসিডেন্সি ব্যবস্থা নামে পরিচিত।  

প্রশ্ন- বাংলা প্রেসিডেন্সির অন্তর্ভুক্ত অঞ্চল গুলি কি কি?

উত্তর- বাংলা প্রেসিডেন্সির অন্তর্ভুক্ত অঞ্চল প্রথম দিকে ছিল বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা, আসাম ত্রিপুরা। পরবর্তীকালে জুক্ত হয়েছিল পাঞ্জাব, উত্তর ভারত, মধ্য ভারত, এবং গঙ্গা- ব্রহ্মপুত্র অববাহিকা অঞ্চল। 

প্রশ্ন- এশিয়াটিক সোসাইটি কে কবে প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তর-উইলিয়াম জোন্স ১৭৮৪ সালে। 

প্রশ্ন- টীকা- মেকলের প্রতিবেদন

উত্তর- প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যবাদী বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে লর্ড বেন্টিঙ্কের আইন সচিব টমাস ব্যাবিংটন মেকলে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার সুপারিশ করে একটি প্রতিবেদন পেশ করেন( ২ ফেব্রুয়ারি, ১৮৩৫)। এটি মেকলে মিনিট নামে পরিচিত। 

-------------------------------------------------------------------------------------------------------------- 

প্রশ্ন- অর্থনৈতিক জাতিয়তাবাদ বলতে কী বোঝ? 

উত্তর- জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম যুগের নেতৃবৃন্দ ভারতের অর্থনৈতিক দুরবস্থার জন্য ব্রিটিশ শাসনকে দায়ী করেন। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল ভারতের দারিদ্র ও ব্রিটিশ শাসনের সম্পর্ক নির্ণয় করা। নরম পন্থী দের ব্রিটিশ শাসনের প্রতি এই মনোভাব অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ নামে পরিচিত। এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করেন দাদা ভাই নৌরজি, মহাদেব গোবিন্দ রানাডে, রমেশ চন্দ্র দত্ত।   

Post a Comment

0 Comments