#Burdwan News
বর্ধমানের অজানা কথা
আপনি কি বর্ধমানের
বাসিন্দা। এই জেলা সম্পর্কে জেনে নিন বহু অজানা তথ্য। নিজের বাসভূমি সম্পর্কে মানুষ
যতবেশী জানবে মাতৃভূমির প্রতি তার ভালবাসা ততই অটুট হবে।
১। আজকের বর্ধমান আগে কী নামে পরিচিত ছিল?
অস্বিন নগর
-ঈশ্বর পুর- শরিফাবাদ –বার-ই-দেওয়ান- বর্ধমান
২। প্রাচীন বর্ধমানকে সমৃদ্ধ করেছিল ৬টি গঞ্জ, ৬টি হাট এবং
৬টি পুর – কি নাম এগুলির?
৬টি গঞ্জ- আলম গঞ্জ, নতুন গঞ্জ, রানিগঞ্জ,
কেশবগঞ্জ, রাজগঞ্জ, তেজগঞ্জ।
৬টি হাট- নবাব হাট, বেচার হাট, গলা হাট,
বোরহাট, বীরহাটা, কাজির হাট।
৬টি পুর- ইদিল্পুর, পোলেম পুর, মির্জা
পুর, কৃষ্ণপুর, বাজেপ্রতাপ পুর, নীলপুর।
৩। বর্ধমানে জন্ম গ্রহণ করেছেন এমন কয়েকজন বিখ্যাত মানুষের
নাম
সুকুমার সেন- রায়না থানার গোতান
গ্রামে
নজরুল ইসলাম- আসানসোল মহকুমার
চুরুলিয়া গ্রামে।
রাজশেখর বসু (পরশুরাম)- গাংপুরের কাছে বামুনপাড়া
গ্রামে।
রাসবিহারী বসু- রায়না থানার সুবলদহ
গ্রামে।
রাসবিহারী ঘোষ- খন্ডকোষের তোরকোনা
গ্রামে।
বটুকেশ্বর দত্ত-খন্ডকোষের ওয়াড়ি
গ্রামে।
বলাই চাঁদ দত্ত- মেরাল গ্রাম।
বৃন্দাবন দাস (চৈতন্য ভাগবত এর
লেখক) - দেনুর গ্রাম।
লোচন দাস (চৈতন্য মঙ্গল এর লেখক) - কোগ্রাম।
কমুদরঞ্জন মল্লিক- মঙ্গলকোট থানার
কোগ্রামে।
কাশিরাম দাস- কাটোয়া মহকুমার
সিঙ্গি গ্রামে
স্বামী বিবেকানন্দ- কালনা মহকুমার
দত্ত দেরিয়াটন গ্রামে।
অক্ষয় কুমার দত্ত- পুরবস্থলি থানার
চুপি গ্রামে।
কবি কঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী- রায়না থানার দামিন্যা গ্রামে।
কবি শেখর কালিদাস রায়-কাটোয়া থানার কড়ুই
গ্রাম।
কবিরত্ন ঘনরাম চক্রবর্তী – খন্ডকোষ
থানার কৃষ্ণপুর কুকুরা গ্রামে।
নবদ্বীপ হালদার (হাস্যকৌতুক অভিনেতা )- বর্ধমানের সোনা পলাশি গ্রাম
ভৈরব গঙ্গোপাধ্যায় (যাত্রা পালাকার )-
মন্তেশ্বর থানার মুল্গ্রাম
মালাধর বসু- মেমারি থানার কুলিনগ্রাম।
কবি রঙ্গলালা বন্দ্যোপাধ্যায়- কালনার
কাছে বাকুলিয়া গ্রামে
কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত- পূর্বস্থলি
থানার চুপি গ্রামে।
সাধক কমলাকান্ত- কালনা
৪। বর্ধমানে প্রথম
হাইস্কুল-রাজ স্কুল ১৮৫৪
বালিকা বিদ্যালয়- মহারানি অধিরানি
বালিকা বিদ্যালয় ১৮৫৬
কলেজ- রাজ কলেজ ১৮৮৪
সিনেমাহল- বিচিত্রা (গৌরাঙ্গ নাট্য নিকেতন)- ১৯১৩
বর্ধমানে প্রথম বিদ্যুৎ আসে- ১৯২৩ সালে
বর্ধমানে প্রথম মোটর গাড়ির মালিক- নলিনাক্ষ বসু
বর্ধমানের প্রথম নির্বাচিত পৌর প্রধান- নলিনাক্ষ বসু
বর্ধমান প্রথম শহরের স্বীকৃতি পায়- ১৮৫৬ সালে।
৫। বর্ধমানে এসেছিলেন ভারত ও বিশ্বের যেসব বিখ্যাত মানুষ
মহাবীর বর্ধমান
শের শাহ-
মেহেরুন্নেসা
সম্রাট আকবর
দেশবন্ধু
চিত্তরঞ্জন দাস-১৯২২
মহত্মা গান্ধী-১৯২৫
টাউন হলে বক্তৃতা করেন। কৃষ্ণ সায়রের পাড়ে চাঁদনিতে তাঁর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
নেতাজী সুভাষ
চন্দ্র বসু- ১৯২৮
জহরলাল নেহেরু
রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর
ঈশ্বর চন্দ্র
বিদ্যাসাগর-
মাইকেল মধুসুদন
দত্ত-
রাজা রামমোহন
রায় – কুড়মুন গ্রামে দ্বিতীয় বিবাহ সুত্রে আবদ্ধ হন।
লর্ড কার্জন-
১৯০৪
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ
ঠাকুর- ১৮৮৫ সালে ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য
গুরু নানক-
বর্ধমান শহরে শ্যমবাজার গড়্গড়া ঘাটের কাছে জলট্যাঙ্কের পাশে এসেছিলেন। এখানে তার স্মরনে
গুরুদ্বার তৈরি হয়েছে।
কিছু স্মরণীয় ঘটনা-
* বর্ধমান
শহরে একটি সায়র এর (শ্যাম সায়র) মনোহর রূপ দেখে মাইকেল মধুসুদন একবার ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।
মাইকেলকে জল থেকে টেনে তুলেছিলেন ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর। জলে ঝাপানর জন্য তিনি মাইকেলকে মৃদু ভর্তসনা করেছিলেন। জল থেকে উঠেও মাইকেলের ভাব দূর হয়নি। তিনি তখনও বলে চলেছেন
স্প্লেনডিড। স্প্লেনডিড।
* বিশ্ব বিখ্যাত এক বিজ্ঞানি বর্ধমান মিউনিসিপাল বয়েজ
হাইস্কুলে কিছুদিন পড়াশুনা করেন তাঁর নাম- জগদীশ চন্দ্র বসু।
0 Comments