মুকুটমনিপুর ভ্রমণের খুঁটিনাটি
কলকাতা থেকে খুব কাছে দু'দিনের ঘোরার, পিকনিক এবং ছুটি কাটানোর জন্য একটা আদর্শ জায়গা মুকুটমনিপুর(Mukutmanipur)। মুকুটমনিপুর পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার একটি গ্রাম এবং পর্যটন কেন্দ্র ।ঝাড়খন্ড সীমান্তের নিকট কংসাবতী ও কুমারী নদীর সংযোগস্থলে অবস্থিত । ১৯৫৬ সালে খাতরা শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে এই মুকুটমণিপুর গ্রামে একটি বিরাট জলাধার প্রকল্প গৃহীত হয়েছিল। ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৃত্তিকা নির্মিত জলাধার মুকুটমণিপুর প্রায় ৮হাজার বর্গকিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত ।বর্তমানে এই মুকুটমণিপুর ঘুরতে যাওয়ার আদর্শ জায়গা। এখানে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য প্রকৃতি প্রেমিকদের হৃদয় আকৃষ্ট করে বারবার ।সব রকম প্রকৃতির অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটেছে এখানে।
কি কি দেখার আছে
১।মুকুটমনিপুর এর প্রধান আকর্ষণ হলো নৌকা বিহার। এটি আপনার মন ভরিয়ে দেবে । নৌকা করে ড্যামের মধ্যে ঘোরা যায়। চাইলে নৌকা করে মোহনা পর্যন্ত ঘুরে আসা যায়। নৌকার রেট হচ্ছে 250 টাকা মোটামুটি দশ-বারোজন আরাম সে বসা যায় আবার অল্প কয়েকজন থাকলে ছোট নৌকো ভাড়া করে নেওয়া যায়। এই নৌকা করে আধ ঘণ্টা ঘোরা যায়। কংসাবতী নদীতে নৌকা করে ঘোরার আদর্শ সময় হচ্ছে বিকেল বেলা।
২।মুকুটমণিপুর থেকে দুই কিলোমিটার দূরে বোন পুকুরিয়া ডিয়ার পার্ক নৌকা ভাড়া করে যাবার পর হেঁটে বা রিক্সা ভাড়া করে এই ডিয়ার পার্কে পৌঁছানো যায়।
৩।মুকুটমনিপুর থেকে চার কিলোমিটার দূরে একটি ছোট্ট গ্রাম অম্বিকানগর। জৈন তীর্থযাত্রীদের পীঠস্থান ছিল এই গ্রাম। এখনো এখানে প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাওয়া যায়। এখানে ঘাস ও বাঁশ দিয়ে তৈরি হয় নানা রকম হস্তশিল্পের জিনিস এখানে আছে ভগ্নপ্রায় রাজবাড়ী মন্দির এখানে আরতী দেখে আসা যেতে পারে।
৪। পরেশ নাথ শিব মন্দির। পাহাড়ের উপর মন্দিরটি আবস্থিত। এই লিঙ্গের একদিকে সূর্য কিরন উদ্ভাসিত করছে এবং অপরদিকে অন্ধকারে পর্যবসিত হচ্ছে। নীচে নীল বারিধারা বর্তমান।
৫। বারোঘুটু পাহাড়। বারো ঘুটু পাহারের চতুর্দিকে অনাবিল সৌন্দর্য এক মনোময় প্রাকৃতিক অনুভুতির সঞ্চার করে। পাহাড়ের শিখর থেকে পশ্চিম দিকে দৃষ্টি গেলে চোখে পড়বে কংসাবতী ও কুমারীর সংযোগ স্থল।
১।মুকুটমনিপুর এর প্রধান আকর্ষণ হলো নৌকা বিহার। এটি আপনার মন ভরিয়ে দেবে । নৌকা করে ড্যামের মধ্যে ঘোরা যায়। চাইলে নৌকা করে মোহনা পর্যন্ত ঘুরে আসা যায়। নৌকার রেট হচ্ছে 250 টাকা মোটামুটি দশ-বারোজন আরাম সে বসা যায় আবার অল্প কয়েকজন থাকলে ছোট নৌকো ভাড়া করে নেওয়া যায়। এই নৌকা করে আধ ঘণ্টা ঘোরা যায়। কংসাবতী নদীতে নৌকা করে ঘোরার আদর্শ সময় হচ্ছে বিকেল বেলা।
২।মুকুটমণিপুর থেকে দুই কিলোমিটার দূরে বোন পুকুরিয়া ডিয়ার পার্ক নৌকা ভাড়া করে যাবার পর হেঁটে বা রিক্সা ভাড়া করে এই ডিয়ার পার্কে পৌঁছানো যায়।
৩।মুকুটমনিপুর থেকে চার কিলোমিটার দূরে একটি ছোট্ট গ্রাম অম্বিকানগর। জৈন তীর্থযাত্রীদের পীঠস্থান ছিল এই গ্রাম। এখনো এখানে প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাওয়া যায়। এখানে ঘাস ও বাঁশ দিয়ে তৈরি হয় নানা রকম হস্তশিল্পের জিনিস এখানে আছে ভগ্নপ্রায় রাজবাড়ী মন্দির এখানে আরতী দেখে আসা যেতে পারে।
৪। পরেশ নাথ শিব মন্দির। পাহাড়ের উপর মন্দিরটি আবস্থিত। এই লিঙ্গের একদিকে সূর্য কিরন উদ্ভাসিত করছে এবং অপরদিকে অন্ধকারে পর্যবসিত হচ্ছে। নীচে নীল বারিধারা বর্তমান।
৫। বারোঘুটু পাহাড়। বারো ঘুটু পাহারের চতুর্দিকে অনাবিল সৌন্দর্য এক মনোময় প্রাকৃতিক অনুভুতির সঞ্চার করে। পাহাড়ের শিখর থেকে পশ্চিম দিকে দৃষ্টি গেলে চোখে পড়বে কংসাবতী ও কুমারীর সংযোগ স্থল।
৬। সোনাঝুরি নেচার পার্ক ।
কিভাবে যাবেন
ট্রেনে করে গেলে নিকটবর্তী রেলস্টেশন হলো বাঁকুড়া। হাওড়া বা সাঁতরাগাছি থেকে ট্রেন পাওয়া যায় অথবা একটু দূর হলেও দুর্গাপুর স্টেশনে নেমেও যাওয়া যায় বাঁকুড়া। স্টেশন বা বাস স্ট্যান্ড থেকে বাস গাড়ি পাওয়া যায় দুর্গাপুর থেকে। বাসে যেতে চাইলে ধর্মতলা থেকে মুকুটমনিপুরের অথবা গোরাবাড়ির বাস পাওয়া যায়। আর তা না হলে বাঁকুড়ার বাস তো আছেই। আর যদি গাড়ি বা বাইকে যেতে চান তাহলে দুর্গাপুর এক্সপ্রেস হাইওয়ে ধরায় ভালো। কলকাতা থেকে কোনা এক্সপ্রেস রোড হয়ে দুর্গাপুর এক্সপ্রেস হাইওয়ে। তারপর সোজা দুর্গাপুরের মুচিপাড়া। ওখান থেকে বাঁদিকে ঘুরে বাঁকুড়ার রাস্তা।বাঁকুড়ার ধলডাঙা দিয়ে সোজা খাতরা হয়ে মুকুটমনিপুর।রাস্তা নিয়ে চিন্তা নেই। দারুণ রাস্তা।
করুণাময়ী থেকে যে বাস গুলি চার ঘণ্টায় বাঁকুড়া পৌঁছে দেয়-
সকাল ৬.৩০, ৮.৩০, দুপুর ১.০০ বিকেল ৩.৩০, ৪.৩৫ (ভাড়া ১৮৫ টাকা)
হাওড়া থেকে ট্রেন এর সময় সূচি-
করুণাময়ী থেকে যে বাস গুলি চার ঘণ্টায় বাঁকুড়া পৌঁছে দেয়-
সকাল ৬.৩০, ৮.৩০, দুপুর ১.০০ বিকেল ৩.৩০, ৪.৩৫ (ভাড়া ১৮৫ টাকা)
হাওড়া থেকে ট্রেন এর সময় সূচি-
কোথায় থাকবেন
বাঁকুড়া মুকুটমনিপুর গিয়ে থাকার জন্য সবচেয়ে উপযোগী হলো ওয়েস্ট বেঙ্গল ফরেস্ট ডেভেলপমেন্ট এর সোনাঝুরি রিসোর্ট। বুকিং কলকাতা অফিস থেকে সরাসরি করা যায় অথবা ওদের ওয়েবসাইট (WBFDC Nature Resort ) থেকে অনলাইনে করা যায়। খুবই সুন্দর একটা পাহাড়ের গায়ে গাছপালা ঘেরা বিরাট জায়গাজুড়ে আলাদা আলাদা কটেজ।তাদের নাম শাল- পিয়াল, তাল- তমাল, ইত্যাদি। এদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা নেই ডাইনিংয়ে গিয়ে খেয়ে আসতে হয়। এছাড়াও আরও কয়েকটি ভালো থাকার জায়গা হল-
PeerlessResort
PeerlessResort
পাহাড় আর জলের সহাবস্থানই হল মুকুটমনিপুরের প্রধান আকর্ষণ। শহরের কোলাহল, দূষণ, আর যান্ত্রিক পরিবেশ থেকে যেন অনেক দূরে একটা শান্ত নিরিবিলি জায়গায় অবস্থিত ভ্রমণ কেন্দ্রটি। এখানে খুব বেশী মানুষ ও বাস করেনা আর ট্যুরিজম এদের প্রধান জীবিকাও নয়। তাই কেউ চাইলে নিজের মত করে জায়গাটা উপভোগ করতে পারে। এখানে বেড়ানোর সব উপকরণই বর্তমান। নেই কোন নিয়মের বেড়াজাল।রাতে যখন ড্যামের উপর নিরিবিলিতে বসবেন, মাথার ওপর গোল চাঁদ, ঠাণ্ডা হাওয়া, সামনে বিশাল জলরাশি, শুনতে পাবেন অনেক দূর থেকে হাওয়ায় ভেসে আসছে মাদলের আওয়াজ, কোন এক সাঁওতালি গ্রাম থেকে। আর দেখবেন আপনার ভেতরের প্রকৃতি প্রেমিক মনটাও আপনার অগোচরেই তালে তাল মেলাতে শুরু করে দিয়েছে।
1 Comments
Very helpful
ReplyDelete