নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের চীন থেকে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।এমনকি সংক্রমণের আশঙ্কায় চীনের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। চীনা পণ্য আমদানি বন্ধ হওয়ায় বিভিন্ন বাজারে তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। নিউ মার্কেট, চাঁদনী চক, বাগরি মার্কেট , ফ্যান্সি মার্কেট এর মত বাজারে চীনা সামগ্রীর জোগান কমে যাওয়ায় জিনিস পত্রের দাম বেড়ে গেছে। কয়েক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো এই করোনাভাইরাস কে বাগে আনা যায়নি।
গোটা বিশ্বজুড়ে এখন একটাই আতঙ্ক - নভেল করোনাভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু (who)এর আনুষ্ঠানিক নামকরণ করেছে 'কোভিড-১৯'। প্রাথমিক ভাবে চীনের হুবেই প্রদেশে একটি বে আইনি পশু বিক্রির বাজার থেকেই এই করোনাভাইরাস এর সংক্রমণের সূত্রপাত বলে মনে করা হচ্ছে।
চীনে ইতিমধ্যে এই সংক্রমণ রোধ করার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে রোগের কথা লুকিয়ে জনসমাগমে যান, তা হলে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অপরাধে তাঁর মৃত্যু দন্ড পর্যন্ত হতে পারে। 2002-03 সালে সার্স যখন মহামারী আকারে দেখা দিয়েছিল, তখন তা রুখতে এভাবেই মৃত্যুদন্ড এবং দীর্ঘ কারাদণ্ডের ভয় দেখিয়েছিল প্রশাসন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে ফের সেই পথেই হাঁটার কথা ভাবছে চীন।.
ভিটামিন D এর অভাবে শরীরে কি সমস্যা হতে পারে
ভিটামিন D এর অভাবে শরীরে কি সমস্যা হতে পারে
একটা প্রশ্ন স্বাভাবিক ভাবেই এসে পড়ে ভারতে করোনাভাইরাস আমদানির সম্ভাবনা কতটা? 'এক্সপেক্টেড গ্লোবাল স্প্রেড অফ দ্য নভেল করোনাভাইরাস' নামে একটি সমীক্ষার ফলাফলে বলা হয়েছে ২০ টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৭। আর আপেক্ষিক আমদানির সম্ভাবনা ০.২১৯ শতাংশ। সারা বিশ্বের প্রায় ৪০০০ বিমানবন্দরের উপর করা এই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ভারতের মধ্যে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সংক্রমণের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি ০.০৬৬ শতাংশ। মুম্বয়ের ছত্রপতি শিবাজী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সংক্রমণ সূচক ০.০৩৪ শতাংশ এবং কলকাতার নেতাজী সুভাষ বিমানবন্দরের সম্ভাবনা ০.০২০ শতাংশ।যদিও এই সমীক্ষা একটি গাণিতিক পদ্ধতি মেনে করা হয়েছে।যার সবটা যে মিলে যাবে তা নয়। তবে জনস্বাস্থ্য এবং আইন প্ৰণয়নকারীদের এই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নেওয়ার ক্ষত্রে এটা কিছুটা কাজে লাগতে পারে। কারন এই ভাইরাস সম্পূর্ণ অজানা। এমনকি এই ভাইরাস যিনি প্রথম চিহ্নিত করেছেন সেই ডাক্তার বাবুও আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
চীনের গন্ডি ছাড়িয়ে যেভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তাতে বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। চীনের হুবেই প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসের সূত্রপাত হলেও এখন তা চীনের গন্ডি পেরিয়ে আরও ২৩টি দেশে পৌঁছেছে। আর সেটাই বিশ্ববাসীর কাছে ভাবনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
এর আগে WHO জরুরি অবস্থা জারি করেছে-
2009 সালে সোয়াইন ফ্লু বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার সময়
2014 সালে পোলিয় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায়।
2016 সালে জিকা আমেরিকায় ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর।
2014 এবং 2019 সালে ইবোলা ছড়িয়ে পড়ার সময়।
কীভাবে এই ভাইরাস ছড়ালো সে বিষয়ে নিশ্চিত ভাবে না জানা গেলেও বিশেষজ্ঞদের বড় অংশ মনে করছেন, উহানের বেআইনি মাংসের বাজার থেকে এই ভাইরাস মানুষের মধ্যে এসেছে।
0 Comments